অঞ্চল ছেড়েছে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, শুধু বুধবারই শহরটি ছেড়েছে প্রায় ৫০ হাজার বাসিন্দা।
ইসরায়েলি বাহিনী গাজার উত্তর-দক্ষিণের রাস্তা দিয়ে কয়েক ঘণ্টার জন্য নিরাপদে বের হওয়ার সুযোগ করে দিলে বাসিন্দারা গাজার উত্তরাঞ্চল ছাড়ে।
![]() |
গতকাল ইসরায়েল বলেছিলে তারা গাজা শহর ঘিরে ফেলেছে এবং গাজা উপত্যকাকে দুই ভাগে ভাগ করেছে। আর এখন তারা বলছে, হামাস গাজার উত্তরাঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে।
হামাস পরিচালিত গাজার কর্তৃপক্ষ বলছে, গাজার উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে বেশ কিছু বিমান হামলা চালানো হয়েছে। এতে গত ২৪ ঘণ্টায় দুই শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে। সব মিলিয়ে গত সাতই অক্টোবরের পর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় ১০ হাজার ৫৬৯ জন নিহত হয়েছে বলে জানানো হয়।
জাতিসংঘ এখনো শক্ত ভাষায় প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। হামাস এবং ইসরায়েল-দুই পক্ষের বিরুদ্ধেই যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তুলেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনার।
জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেন, গাজায় যে হারে বেসামরিক নাগরিক মারা যাচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর পরিচালিত অভিযানে “স্পষ্টভাবেই কিছু ভুল” রয়েছে। একই সাথে হামাস মানুষকে মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
গাজায় আটক ২৩৯ সজন জিম্মির পরিবারে তাদেরকে মুক্তি দেয়ার দাবি অব্যাহত রেখেছে। বিবিসি তাদের ঘনিষ্ঠ জনদের সাথে কথা বলেছে।
মোট ১২জন জিম্মিকে মুক্তি দেয়ার বিনিময়ে তিন দিনের জন্য মানবিক বিরতি দেয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। এই জিম্মিদের মধ্যে অর্ধেকই আমেরিকান। তবে বিরতির সময়সীমা এবং গাজার উত্তরাঞ্চলের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় বিতর্ক চলছে।
কিন্তু ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এতে “মিথ্যা গুজব” বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। একই সাথে তিনি বলেছেন, “আমাদের জিম্মিদের মুক্তি না দেয়া পর্যন্ত” কোন অস্ত্রবিরতি হবে না।
বিবিসির আন্তর্জাতিক সম্পাদক জেরেমি বোয়েন ইসরায়েলি বাহিনীর সাথে গাজায় প্রবেশ করেছেন। তিনি সেখানে কোন ভবন অক্ষত দেখতে পাননি। একই সাথে একটি পারিবারিক আবাসিক অ্যাপার্টমেন্ট অস্ত্র তৈরির কারখানা হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে দাবি করে, সেটিও তাকে দেখায় ইসরায়েলি বাহিনী।
গাজায় বাসিন্দাদের মানবিক পরিস্থিতি আরো খারাপ হচ্ছে। সেখানে মানুষ পর্যাপ্ত খাবার ও পানির জন্য লড়াই করছে।
No comments:
Post a Comment